গর্ভাবস্থায় ত্বকে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার কিছু গর্ভাবস্থার আগে থাকে, সেটা গর্ভাবস্থায় বেড়ে যায়। আবার কিছু সমস্যা গর্ভাবস্থায় প্রথমবার দেখা দেয়। অনেক সমস্যা শুধুমাত্র হরমোনাল কারণে হয়ে থাকে আবার রক্তনালীগুলো যাতে ঠিকঠাক মতো রক্ত সরসরাহ করতে পারে সেজন্যও কোনো কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ব্রণ, মেছতা, লালচে ভাব, চুলকানি কিংবা অ্যাকজিমার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ত্বকের যত্নে কী করা উচিত? চলুন এই বিষয়ে জানা যাক।
ডারমাটোলজিস্ট ডা. ফারহানা কাইয়ূম বলেন, গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোনাল পরিবর্তন হয়। যার জন্য মুখে মেছতার দাগ হয়ে থাকে। সন্তান জন্মদানের পরে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমে যায় আবার অনেকেই এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকেন। অনেকের ব্রণ হয়, বিশেষ করে বডিতে লালচে ভাব দেখা দেয়। এটা হয়ে থাকে রক্তনালীগুলোতে রক্ত চলাচল বাড়ানোর জন্য। অনেকের অ্যাকজিমা থাকে সেটা গর্ভাবস্থায় বেড়ে যেতে পারে। পূর্বে অ্যাকজিমা থাকলে গর্ভধারণের তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ত্বকে যাতে স্থায়ী সমস্যা না হয় সেজন্য গর্ভাবস্থায় মাকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে শরীরটাকে ময়েশ্চারাইজ রাখতে হবে। যেসব খাবারে তার অ্যালার্জি হয় সেসব খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
ফারহানা কাইয়ূম আরও বলেন, গর্ভধারনের ৩০ সপ্তাহ পর থেকে সন্তান প্রসবের আগ পর্যন্ত ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। এটা হরমোনাল কারণে হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তান জন্মদানের কিছুদিনের মধ্যে চুলকানির সমস্যা চলে যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় একজন ডার্মাটোলজিস্টকে দেখানো ভালো।