জাতীয়

‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ

সারাদেশে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে সরকার। 

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এ কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঢাকা সিটিতে মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি৷ এখন মোটামুটি সবাই হেলমেট পরে। কিন্তু ঢাকার বাইরেও একটা পলিসি নেওয়া দরকার। ডিসি, এসপিদের জানাতে হবে যদি মোটরসাইকেল চালকদের কাউকে হেলমেটবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়, তবে তাদের ফুয়েল দেওয়া হবে না। পুরো বাংলাদেশে এ নিয়ম জারি করতে হবে৷ এ নীতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কাদের বলেন, এতকিছু করে কি লাভ কোনো ফলাফল আসছে না। এত রাস্তা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, টানলে করা হচ্ছে কিন্তু যানজট বা দুর্ঘটনা কমছে না। সবাই তো আমাকে বলে। খালি ঢাকা শহরে করলে তো হবে না, পুরো বাংলাদেশে করতে হবে নো হেলমেট, নো ফুয়েল। এই সিদ্ধান্ত আজকে আমরা নিলাম। 

বিআরটিএ ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা হয় বুধবার

তিনি বলেন, প্রতি বছর বলা হয় আগের বছর থেকে কম হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। কিন্তু টিম ওয়ার্ক কোথায়। রেজাল্ট না পেলে কথা শুনতে হয় আমার। বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে তো কথা শুনতে হয় না।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান সভায় কার্যবিবরণী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সড়ক আইনে বলা আছে সভার কথা। কিন্তু এটা হচ্ছে ছয় বছর পর। এখানে আরও স্টেকহোল্ডার লাগবে। মশিউর রহমান রাঙ্গা, বাস-ট্রাক ওনার্স এসোশিয়েশন, ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধি থাকলে ভালো হবে।

শাহজাহান খান এ সময় বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে লাইসেন্স কতগুলো পেন্ডিং আছে-সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। বিআরটির চেয়ারম্যান জানান, ৩ লাখ ৭৯ হাজার লাইসেন্স কার্ড দেওয়া হয়নি। তবে শাহাজাহান খান এই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, এই সংখ্যা ৭ থেকে ৮ লাখ।

শাহাজাহান বলেন, দুর্ঘটনা হলেই গতির দোষ দেওয়া হয়। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে অন্য কারণ আছে। এ সময় তিনি তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের দুর্ঘটনার উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা হলেই শুধু পুলিশ প্রতিবেদনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।