কক্সবাজার খুরুশকুলে চুরির অপবাদে দুই জেলেকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মনুপাড়ার একটি মাছের ঘেরের ঘেরের পাশ থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মছিউর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন-খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ার বাসিন্দা জামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (২২) এবং একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. ইয়াছিন আরাফাত (২৪)।
স্থানীয়দের বরাতে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক মছিউর রহমান বলেন, আজ শুক্রবার সকালে মনুপাড়ায় জনৈক শামশুল হুদার মৎস্য ঘেরের পাশে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৎস্য ঘেরের বাঁধের ওপর উপুড় অবস্থায় দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকলেও বৈদ্যুতিক শকের মতো পোড়া ক্ষত রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, মনুপাড়া এলাকার মৎস্য ঘেরের পাশে দুই যুবকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যায়। তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও নিহতদের শরীরে বৈদ্যুতিক শকের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত ইয়াছিনের বাবা আবু তাহের বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় কাজল মেম্বার এবং শামসু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ। ধারণা করছি, তাদের মনুপাড়াস্থ মৎস্য ঘেরে নিয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ ঘেরের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
নিহতের আব্দুল খালেকের বাবা জামাল হোসেন বলেন, ধরে নিয়ে মারধর করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।