ফিলিস্তনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৭ মে) দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোনো কোনো জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের বাধার মধ্যেই মিছিল পালন করা হয়। তবে, কোনো কোনো জেলা সমাবেশ করতে পারলেও মিছিল করতে দেয়নি প্রশাসন।
সমাবেশগুলোতে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের মদদ ছাড়া ফিলিস্তিনে হামলা করার সাহস পেত না ইসরায়েল। গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে জনশূন্য করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। ১ লাখেরও বেশি মানুষকে আহত ও পঙ্গু করা হয়েছে। পুরো গাজাকে বৃহত্তর জেলখানায় পরিণত করে সেখানে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন বর্বরতা ও অসভ্যতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এখন মজলুম ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে বিশ্বের সকল মুসলমানদের দাঁড়ানো উচিত। মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনের পাশে থাকার ঘোষণা দিলে ইসরায়েলিরা লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবে।
যেসব জেলায় একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে—ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর জেলা ও মহানগর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর, ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা পূর্ব-পশ্চিম, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম পূর্ব-পশ্চিম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী উত্তর-দক্ষিণ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ, কুমিল্লা পশ্চিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা জেলা ও মহানগর, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রংপুর জেলা ও মহানগর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর উত্তর-দক্ষিণ, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা এবং পটুয়াখালী।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।