দেশের হয়ে বিবর্ণ। বিশ্রাম দেওয়া হয় একাদশ থেকে। সুযোগ পেয়ে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) যাত্রা। মোস্তাফিজুর রহমানকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। কাটার-স্লোয়ারে প্রতিপক্ষকে প্রতিনিয়ত বিধ্বস্ত করে শিরোনামে ছিলেন আইপিএল জুড়ে।
আইপিএলে শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন নিজের প্রথম আসরে। তবে যেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, সেই লাল সবুজের দেশের হয়ে এখনো বড় কোনো ট্রফি ছুতে পারেননি। সেই আক্ষেপে পুড়ছেন দ্য ফিজ। তার মতে, বড় ট্রফি জিতলেই বড় খেলোয়াড় হওয়া যায়।
রোববার (১৯ মে) এক ভিডিও বার্তায় মোস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো করার তো শেষ নাই। চেষ্টা করব আগে যা করেছি, সেটা থেকে আরও ভালো করার। আমার মনে হয় বড় প্লেয়ার সেই হয়, যে বড় ইভেন্টগুলো জিতে, বড় ট্রফি জিতে। এই আক্ষেপ (বড় ট্রফি জেতার) তো সবসময় রয়ে গেছে।’
এবারের আইপিএলে শুরুতেই চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বাজিমাত করেছেন মোস্তাফিজ। ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকায় অনাপত্তিপত্র ছিল না পুরো আসরের জন্য। দেশে ফিরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলেছেন। দুই ম্যাচেই ছিলন কৃপণ। প্রথম ম্যাচে ১৮ রানে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি।
মোস্তাফিজের কাছে দেশের হয়ে খেলাটা গৌরবের, ‘দেশের হয়ে খেলাটা গৌরবের বিষয়। আমি সবসময় উপভোগ করি দেশের হয়ে খেলাটা।’
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেটে নেই মোস্তাফিজ। ওয়ানডের চেয়েও উপভোগ করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। কারণও ব্যাখা করেছেন নিজে, ‘ভালো লাগার কথা বললে আমি টি-টোয়েন্টিটা খুব উপভোগ করি। এই ফরম্যাটটা বেশ চাপের। এ কারণেই মনে হয় ভালো লাগে আমার। চাপ নিয়ে খেলতে অনেক উপভোগ করি।’
২০১৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আইপিএলের ৭টি আসর খেলেছেন মোস্তাফিজ। ৫৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৬১ উইকেট। সাকিব আল হাসান ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা আর নেই কোনো সতীর্থের। মোস্তাফিজও তার অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেন সতীর্থদের মাঝে।
‘আমাদের যে বোলাররা আছে তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান- আমি যতটুকু শিখেছি ওদের সাথে শেয়ার করি.. যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়’-বলেছেন মোস্তাফিজ।