সারা বাংলা

কেএনএফ’র কর্মকাণ্ডে সব বম নাগরিক সম্পৃক্ত নয়

‘বম সমাজ দেশের অংশ। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার তাদেরও আছে। কেএনএফ মানে বম নয়, আর বম মানেই কেএনএফ নয়। কেএনএফের কর্মকাণ্ডে সব বম নাগরিক সম্পৃক্ত নয়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।’

রোববার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বান্দরবানের উজানি পাড়া ইভেনজেলিক্যাল খ্রিস্টান চার্চ প্রাঙ্গণে ‘সাধারণ বম জনগোষ্ঠী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব দাবি করেন। 

কেএনএফ’র নামে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীর যাদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বক্তারা। এ ছাড়া, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী কেএনএফ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তারা। বম সম্প্রদায়ের শতাধিক শিশু, নারী ও পুরুষ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন। 

বম সংগঠনের নেত্রী ঙুন চুওয়ান বম বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি-সম্প্রীতি এবং স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। কতিপয় কেএনএফর জন্য গণহারে নারী-পুরুষ সবাইকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া বম ছেলে-মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বম শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি ও বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।’

মানববন্ধনে বান্দরবানে রুমা ও থানচি উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও সরকারি ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনার নিন্দা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালিয়ে ১৪টি অস্ত্র ও ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কেএনএফ’র তৎপরতা দমনে বান্দরবানের ৩ উপজেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফ’র ৫ সদস্য নিহত ও ২৫ নারীসহ ৮৭ জনকে রুমা ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।