টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দিয়েছে পাপুয়া নিউগিনি। বিশ্বকাপ জয়ী এই কোচকে ‘স্পেশালিস্ট কোচ’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দলটি। তার কাজ হবে পাপুয়া নিউগিনির প্রধান কোচ তাতেন্দা তাইবুকে ক্যারিবিয়ান কন্ডিশনে তার অগাধ অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৬০টি ম্যাচ খেলা সিমন্স মূলত বেশি পরিচিত ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানোয়। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যতোটা সফল, তার চেয়ে বেশি সফল কোচ হিসেবে।
এ পর্যন্ত তিনি জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন।
সিমন্স আশা করছেন ক্যারিবিয়ান কন্ডিশনে তার অর্জিত অগাধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দিয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে সহায়তা করতে পারবেন। যারা দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে।
সিমন্স বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনি দলে আমার ভূমিকা হবে কনসালট্যান্টের। আমার যা অভিজ্ঞতা আছে সেটা কেবল বিশ্বকাপের মঞ্চেই নয়, ক্যারিবিয়ানের বিভিন্ন ভেন্যুতে খেলার সেটা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করবো। খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমার ১৪ বছর খেলার এবং আন্তর্জাতিক কোচ হিসেবে ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুতরাং লম্বা সময়ে ধরে আমি এই খেলাটির সাথেই রয়েছি। আসলে বাড়িতে ফিরে আসটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো অংশে আসতে পারাটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ কিছু। কি সুন্দর আমার দেশ।’
পাপুয়া নিউগিনি দলের প্রশংসা করে সিমন্স বলেন, ‘তাদের এনার্জি অবিশ্বাস্যরকম। আমি তাদের প্রধান কোচকে অনেক আগে থেকে চিনি। সে নিজেও এনার্জেটিক। খেলোয়াড়রা তার চেয়েও বেশি। দলটি বেশ প্রাণোচ্ছ্বল ও উজ্জীবিত। তাদের দলের পরিবেশটা আমার বেশ ভালো লেগেছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনি রয়েছে ‘সি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও উগান্ডা।
আগামী ০২ জুন প্রোভিডেন্সে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে পাপুয়া নিউগিনির বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। এরপর ০৬ জুন একই ভেন্যুতে উগান্ডার বিপক্ষে রয়েছে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। এরপর ১৪ জুন তারুবায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে তৃতীয় ম্যাচ। আর ১৭ জুন একই ভেন্যুতে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ।