সাত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করা যায়নি। এতে করে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
বুধবার (২২ মে) সকালে আরএসবি আমদানিকারকের গুদামে গিয়ে দেখা যায়, গত ১৫ মে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেন এই প্রতিষ্ঠান। আমদানিকৃত পেঁয়াজ রাখা হয়েছে তার গুদামে। ভারত থেকে আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজির দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। তবে পাইকাররা দাম বলছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এতে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীকে। যার কারণে দাম পাবার আশায় গুদামে রাখা হয়েছে।
এদিকে হিলি বন্দর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সমান থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও কম।
আরএসবি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আহম্মেদ আলী জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ৪০ শতাংশ শুল্কে গত ১৫ মে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজে দুই দেশ মিলে প্রায় ৫ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। যে দামে আমদানি করেছি সে দামে বিক্রি না হওয়ায় গুদামে রাখা হয়েছে।