টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে দুটি পরিবর্তন এনেছে নেদারল্যান্ডস। ইনজুরিতে পড়া ফ্রেড ক্লাসেন ও ড্যানিয়েল ডোরাম ছিটকে গেছেন দল থেকে। তাদের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন মিডিয়াম পেসার কাইল ক্লেইন ও লেগ স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব জুলফিকার। ক্লেইন অবশ্য ভ্রমণ রিজার্ভে ছিলেন। এবার তিনি ১৫ সদস্যের দলে জায়গা পেলেন।
ফ্রেডের পিঠের নিচের অংশে চিড় ধরায় তিনি আর বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। অন্যদিকে ড্যানিয়েলের হাত ভেঙে যাওয়ায় তিনিও ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকে।
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া জুলফিকার এ পর্যন্ত ছয়টি টি-টোয়েন্টি ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেছেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে। বল হাতে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। ইকোনোমি ৬.৪৬। অন্যদিকে ডানহাতি মিডিয়াম পেসার ক্লেইন একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন ডাচদের হয়ে। নেপালের বিপক্ষের সেই একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে একটি ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পাঁচ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এই বিশ্বকাপেও নেদারল্যান্ডসকে যথারীতি নেতৃত্ব দিবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। ২০২২ বিশ্বকাপেও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে অরেঞ্জ রঙের জার্সিধারীরা। সিরিজে ইতোমধ্যে তারা স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছে এবং আয়ারল্যান্ডের কাছে ১ রানের ব্যবধানে হেরেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আছে ‘ডি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপাল।
৪ জুন নেপালের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। এরপর ৮ জুন খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ১৩ জুন তৃতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। আর ১৭ জুন গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
তার আগে তারা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ২৮ মে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। আর ৩০ মে কানাডার বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল: আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিড, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বিক, ম্যাক্স ও’ডাউড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকেরেন, সাকিব জুলফিকার, স্কট এডওয়ার্ডস, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিংলে, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি।