প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশেও প্রতিবছর অনেক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ডেঙ্গু বা ডেঙ্গি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই জ্বর হয়। এই ভাইরাস বহন করে এডিস এজিপ্টি ফিমেল মশা।
যেভাবে ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায়
চিকিৎসকেরা বলেন, বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে এই জ্বরের প্রকোপও বাড়ে। বড় বড় শহরের লোকেদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ ছাদবাগানে, ফুলের টবে, ড্রিংকসের কেইনে বৃষ্টির পানি জমা থাকলে বা কমোডে পাঁচ-সাতদিন পানি জমা থাকলে এডিস মশা ডিম পারে। এর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই ডিম থেকে বাচ্চা হয়। এই মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষকে যখন কামড়ায় তখন সে এই ভাইরাসটা গ্রহণ করে। এবং সে যখন আরেকটা সুস্থ মানুষকে কামড়ায় তখন ওই সুস্থ ব্যক্তিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং মশার প্রজনন বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার এগুলো যদি রাস্তায় না ফেলি বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, কোথাও যদি পানি পাঁচ সাত দিন জমিয়ে না রাখি; তাহলে মশার প্রজনন কমানো সম্ভব।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে যাতে যে ডেঙ্গু জ্বরের সোর্স হতে না পারে। শোনা যায় এই মশা রাতের বেলায় কামড়ায় না- কিন্তু এর কোনো প্রমাণ নেই। তবে এই মশা দিনের বেলায় বেশি কামড়ায়।
হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশনের পরামর্শ—
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন বাড়িঘর আলো-বাতাসপূর্ণ রাখুন লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক ও ফুলপ্যান্ট পরুন সন্ধ্যার আগে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।