আইপিএলের ফাইনালে আগেই পা দিয়ে রেখেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে তা জানতে ছিল অপেক্ষা। শুক্রবার সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালসকে। চেন্নাইয়ে ৩৬ রানে ম্যাচ জিতেছে হায়দরাবাদ। রোববার একই মাঠে ফাইনালে কলকাতার প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ। কার ঘরে যাবে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে সেদিনই।
ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে হায়দরাবাদ ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে। জবাবে রাজস্থান ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি। হায়দরাবাদের জয়ের নায়ক ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় শাহবাজ আহমেদ। ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে ১৮ রানের পর বল হাতে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন শাহবাজ।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এ নিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠল। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদ ফ্রাঞ্চাইজি ফাইনালে উঠেছে চারবার। শিরোপা জিতেছে দুইবার। এবার প্যাট কামিন্সের হাতে তৃতীয় শিরোপা উঠে নাকি সেটাই দেখার। অন্যদিকে কলকাতা শিরোপা জিতেছে দুইবার, একবার তারা রানার্সআপ। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা কলকাতা তৃতীয় শিরোপা পায় কিনা সেটাই দেখার।
আইপিএলের শুরু থেকে হায়দরাবাদ এবার ছিল ভিন্ন চেহারায়। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ব্র্যান্ড চালু করে নিয়মিত বড় সংগ্রহ পেত তারা। তবে শেষ দিকে এসে তুলনামূলক পিছিয়ে গিয়েছিল। ভাগ্য পাশে থাকায় শেষ পর্যন্ত তারা ফাইনালে উঠেছে।
শুক্রবার ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে রান পেয়েছেন হেনরিক ক্লাসেন ও ত্রেভিস হেড। ক্লাসেন ৩৪ বলে ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেন। হেড ২৮ বলে ৩৪ রান করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া রাহুল ত্রিপাঠী ১৫ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ৫ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ দিকে শাহবাজের ১৮ রানের অবদানে হায়দরাবাদ লড়াকু পুঁজি পায়। রাজস্থানের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও আভেশ খান।
লক্ষ্য তাড়ায় তাদের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। ওপেনিংয়ে ইয়াসভি জসওয়াল ২১ বলে ৪২ রান করলেও বাকিরা কেউই প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ১০ রানের দুটি ইনিংস খেলেন টম কোলহের ও সানজু স্যামসান। রায়ান পরাগ করেন মাত্র ৬ রান। পাঁচে নামা ধ্রুব জুরেল শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে নিজের ফিফটি তুলে নিলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ের চাহিদা মেটাতে পারেননি। ৩৫ বলে ৫৬ রান করেন ৭ চার ও ২ ছক্কায়।
হায়দরাবাদের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। আলগা বোলিং না করে ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিল তারা। ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শাহবাজ ছিলেন সেরা। ২ উইকেট পেয়েছেন অভিষেক শর্মা।