ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শিলাস্তির দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া।
গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমানসহ ৩ আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। অন্য ২ আসামি হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়া।
গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলানগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন নিহত আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। আদালতে শিলাস্তি বলেন, তিনি শুধু হত্যা সংঘটিত হওয়া কলকাতার ওই বাসায় ছিলেন। তা ছাড়া কিছু জানেন না।
ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শিলাস্তি রহমান এমপি আনোয়ারুল আজীম খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। গত ১৩ মে তিনি আমানুল্লাহ ও আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। হত্যার সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও শিলাস্তি থেকে যান কলকাতা। তিনি ১৫ মে বিমানে দেশে ফেরেন।’
শিলাস্তি রহমানের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে শিলাস্তি রহমানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধবুরিয়া ইউনিয়নের পাইসানায় গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি ফাঁকা। টিনের ঘরে তালা ঝুলছে। টিনের ঘরের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে দোতলা বাড়ি। তবে বাড়ির ভেতরে আসবাবপত্র নেই।
এ সময় পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন শিলাস্তির দাদা সেলিম মিয়া। তিনি জানান, দুই বোনের মধ্যে শিলাস্তি বড়। তার বাবা আরিফুর রহমান জুট ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকে তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। মাঝে-মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসলেও দু-একদিন পর আবার চলে যায়। শিলাস্তির চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির হওয়ায় এবং বাড়ির বাইরে দিনের পর দিন সময় কাটানোর কারণে তার সঙ্গে কথা বলা বাদ দেন সেলিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
এ সময় সেলিম মিয়া তার নাতি অপরাধী হলে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিলাস্তি আসামি। যদি আসলে হত্যায় জড়িত থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।’