বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, বাড়ছে শক্তিও। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি তার অবস্থান থেকে উত্তর দিকে আরও অগ্রসর হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে আগামীকাল রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার দিকে। ঝড়ের আঘাত এবং জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে জেলা প্রাশাসনের উদ্যোগে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাধারণ মানুষদের আশ্রয়ের জন্য জেলার ৮২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৬২টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩৭টি মেডিক্যাল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম জহিরুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।