বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমে উপকূলের দিক এগিয়ে আসছে। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপকূলবাসীদের মধ্যে আতংক বেড়েই চলেছে।
রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা বন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর নাগাদ সুন্দরবন উপকূলে আঘাত করবে। এ অবস্থায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সুন্দরবনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের প্রতিটি স্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের বণ্যপ্রাণীদেরও নিরাপদে রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সার্বক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবরে বন বিভাগের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করে তাদের নিরাপদ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মংলা বন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। বর্তমানে মংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত আনতে পারে।