বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সু্ন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বনের নিচু এলাকা তলিয়ে যায়। তবে এতে এখনও বন্যপ্রাণীর ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার পশুর নদে। এই নদে দুপুরে বিপদসীমার ৫ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। আর বলেশ্বর ও ভৈরব নদে বিপদসীমার দুই থেকে তিন ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, দুপুরে জোয়ারে বনের করমজল কেন্দ্রসহ অনেক বনভূমি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এখনও কোনো বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বন বিভাগের সকল স্টেশনসহ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন।