ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১০ নং মহাবিপদ সংকেত জারির পর রোববার (২৬ মে) রাত পর্যন্ত ৫টি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এই সংখ্যা বাড়ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৫ মে) রাতভর পরিশ্রমের পর রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে দাকোপ ও কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ অংশে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। অতি ভাঙন প্রবণ এলাকায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী জানান, ১০নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পরই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং শুরু হয়। উপজেলার ১৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
চালনা মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, খুলনার উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য করা হয়েছে। কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় প্রতিটিতে দেড় লাখ নগদ টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে। বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।