ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত সাবমেরিন ট্যুরিজম

বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে সেবা খাত। আর এই সেবা খাতের মধ্যে ট্যুরিজম অন্যতম। দেশের সব ধরনের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ এই ট্যুরিজম শিল্পের মধ্যে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দেশে রয়েছে হাজারো  নদী, নালা, পাহাড়, পর্বত। পুরো দক্ষিণ অংশ জুড়ে রয়েছে উপসাগর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দেশে যদি কোনো পর্যটক আসে, অবশ্যই তিনি মুগ্ধ হবেনই।

বর্তমানে সরকার পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দেশের প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রে নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও সেখানে যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সেদিকেও সরকার নজরদারি প্রয়োগ করেছে। কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারে পর্যটক আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আবার ট্যুর এজেন্সিগুলো অফার মূল্যে হোটেল রুম বিক্রি করে থাকেন। এজন্য বাংলাদেশে উন্নত দেশের মতো পর্যটনের প্রসার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।

উন্নত দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য সাবমেরিন ট্যুরের আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে একজন পর্যটক সমুদ্রপৃষ্ঠের ভিতরে যে রহস্যময় জগৎ আছে, তা সম্পর্কে জানতে পারেন। ফলে এ সাবমেরিন ট্যুরিজমের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আমেরিকায় খুবই প্রচলিত হয়ে উঠেছে। তবে মান ভেদে এ ট্যুরের মূল্য কম বেশি হতে পারে। কুরাকাও ভিত্তিক একটি সংস্থা ৯০ মিনিটের জাহাজডুবি এবং রিফ ট্যুরের জন্য ৮০০ ডলার চার্জ করে, যেখানে টাইটানিকের একটি ডুবো ভ্রমণের মূল্য মাথাপিছু ১ লাখ ডলারের বেশি।

বাংলাদেশে রয়েছে সাবমেরিন ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতটি হতে পারে সাবমেরিন ট্যুরিজমের অন্যতম ঘাঁটি । ব্যক্তি উদ্যোগে বা সরকারি উদ্যোগে প্রতিদিন ছয়টি ট্যুর পরিচালনা করে, যেখানে প্রতি ট্যুরে ছয়জন থাকবে। মাথাপিছু টিকিট মূল্য ২১০ ডলার ধরলে প্রতিদিন ৭ হাজার ৫৬০ ডলার আয় হবে।

প্রতিদিন ট্যুর পরিচালনা বাবদ সাড়ে ৩ হাজার ডলার খরচ হলেও ৪ হাজার ৬০ ডলার লাভ থাকবে। সে হিসেবে মাসে লাভ হবে আনুমানিক ১ লাখ ২১ হাজার ডলার। যা দেশের অর্থনীতিতে আনতে পারে অকল্পনীয় পরিবর্তন।

সরকারের উচিৎ, বিদেশ থেকে সাবমেরিন ট্যুরিজম বিষয়ে তাত্ত্বিক ও কারিগরি জ্ঞান লাভ করে এ ট্যুরের ব্যবস্থা করা। এতে করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজে আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়