রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর সমর্থকেরা সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত তৎপর আছে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে এমন প্রতিটি উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গতবার উপজেলা নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১২ জনের বেশি সদস্যকে দেওয়া যায়নি৷ এবার সাধারণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ১৭ জন রয়েছেন৷ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আছেন ১৯ জন৷ এর বাইরে মাঠে পুলিশ ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স আছে। প্রতিটি ইউনিয়নে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য৷ যারা দুষ্কৃতিকারী; সংখ্যায় আমরা তাদের চেয়ে বেশি আছি। সুতরাং ভোটে সহিংসতার চেষ্টা করলে লাভ হবে না।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে গড়ে ৩৭ শতাংশ ভোটার এসেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা ভোটার নিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী কম, সেটা হয় না। এবার সকাল থেকে আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল, তাই ভোটার একটু কম ছিল। এখন ধীরে ধীরে বাড়বে।
এসময় বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. হাসনাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার সকালে পবার নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ছাড়াও ভাইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ভোটার ও এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেন। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্র থেকে ফলাফল নিয়েই বাড়ি ফেরার জন্য প্রার্থীর এজেন্টদের পরামর্শ দেন তিনি।