গাজার রাফাহ শহরে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল তাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি ভিডিও বিশ্লেষণ ও বিস্ফোরক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের মতে, রোববার গাজার দক্ষিণতম শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলার পর অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৫ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু।
সিএনএন-এর প্রাপ্ত ফুটেজে রাফাহ শিবিরের বেশ কিছু অংশ আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে। শিশুসহ পোড়া মৃতদেহগুলো উদ্ধারকারীদের ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলতে দেখা গেছে।
প্রাপ্ত ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ছোট ব্যাসের বোমা জিবিইউ-৩৯ (এসডিবি)।
বিস্ফোরক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ক্রিস কোব-স্মিথ মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, জিবিইউ-৩৯ বোমা তৈরি করেছে বোয়িং। এটি একটি উচ্চমাত্রার নির্ভুল যুদ্ধাস্ত্র, যা ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লক্ষ্য করে আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।’ যুদ্ধক্ষেত্রে এই অস্ত্র ব্যবহার করলে পারিপার্শ্বিক ক্ষতি কম হয়। তবে ‘যেকোনো অস্ত্র ব্যবহার করা, এমনকি এই আকারের অস্ত্রও একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সবসময় ঝুঁকি বহন করবে।’
মার্কিন সেনাবাহিনীর সিনিয়র এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল টিমের সদস্য ট্রেভর বল সিএনএনের ভিডিওটি দেখে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জিবিইউ-৩৯ বোমা।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এর তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলে অস্ত্রের বৃহত্তম সরবরাহকারী। গাজা আক্রমণ বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের উপর ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও সেই সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
গত মাসেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছেন।