উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা । এতে তলিয়ে গেছে পাঁচ উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। পানি বাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথরসহ জেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্র। এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয় যে, অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি হওয়ায় ও পর্যটনকেন্দ্রসমূহ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
সিলেটের উজানে অবস্থান ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্য। এসব রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির ঢল সিলেটের দিকে নেমে আসে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত ক’দিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে মেঘালয়ে। এতে করে ঢল নেমে সিলেটের সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে।
সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে জানিয়ে সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ উপজেলার মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬টি, জৈন্তাপুরে ৪৮টি, কানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি ও জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন বলেন, শুধু সাদাপাথর নয়, জাফলংসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।