দেহঘড়ি

কিশমিশ কখন খাবেন?

আঙুর শুকিয়ে কিশমিশ হয়। যখন কোনো ফল প্রাকৃতিকভাবে ড্রাই বা শুকানো হয় তখন তার ক্যালরি এবং ফ্রুকটোজ অনেক বেশি বেড়ে যায়। এবং শুকনা ফল অনেক বেশি এনার্জিটিক হয়। কিশমিশও তাই।

পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিক বলেন— আমরা যদি আঙুর খাই তাহলে সেখানে আমরা ভিটামিন সি থেকে শুরু করে আরও অনেক খাদ্য উপাদান পেতে পারি। কিন্তু আঙুর শুকিয়ে যদি কিশমিশ আকারে খাই তাহলে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম পাবো। আঙুরের থেকে কিশমিশে আয়রন এবং ক্যালরির পরিমাণও বেশি থাকে। 

পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকার পরামর্শ—

৮-১০টি কিশমিশ ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেই পানিসহ কিশমিশগুলো ভালো করে চিবিয়ে খান; দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকবে না।

শুকনা কিশমিশ খেলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। এনার্জি বুস্ট করার জন্য শুকনা কিশমিশ খেতে পারেন। 

যারা সকালে হাঁটতে বের হন তারা হাঁটতে যাওয়ার আগে আট থেকে দশটি কিশমিশ খেয়ে পানি পান করে হাঁটতে যেতে পারেন।

যারা অফিসে অনেক বেশি কাজের প্রেসারে থাকেন, অনেক ছুটাছুটি করতে হয় এমন ব্যক্তিরা কিংবা হঠাৎ ক্লান্তি বোধ করতে করলে তাৎক্ষণিক এনার্জি বুস্ট করার জন্য কয়েকটি কিশমিশ খেয়ে নিতে পারেন। 

ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর যদি সুগার ফল করে তাহলে তাৎক্ষণিক সুগার সাপ্লাইয়ের জন্য কিশমিশ খেতে পারেন।