ফেনীর ছয়টি উপজেলার ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে নীল ক্যাপসুল (৬ থেকে ১১ মাস) খাওয়ানো হয়েছে ৩০ হাজার ৮৪১ জনকে এবং লাল ক্যাপসুল (১২ থেকে ৫৯ মাস) খাওয়ানো হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৯ শিশুকে। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেলা সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন।
শনিবার (১ জুন) জেলাব্যাপী ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ স্লোগানে সকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ২০৯ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য বলেছে, আজ দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সীদের নীল ক্যাপসুলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ হাজার ৩৭১টি শিশু। এদের মধ্যে ৩০ হাজার ৮৪১ জন শিশুকে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। অর্জিতের হার ৯৫ শতাংশ। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮ জন। ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৯টি শিশুকে। অর্জিতের হার ৯৮ শতাংশ।
সূত্র আরও জানায়, জেলায় ১ হাজার ১৩০টি অস্থায়ী, ৮টি স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ চারটিসহ ১ হাজার ১৪২টি কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে দুই জন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৭০০-৮০০ জন এই ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত ছিলেন।
প্রাপ্র তথ্যে দেখা যায়, ফেনী সদরে নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৭ হাজার ৩৪৬ জন এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ৫২ হাজার ৭৮৫ জন শিশু। ছাগলনাইয়া উপজেলায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৩ হাজার ৯৫১ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ২৯ হাজার ১৫০ জন। দাগনভুঞা উপজেলায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৫ হাজার ৯৩৪ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ৩৯ হাজার ৭৯৪ জন শিমু। ফুলগাজী উপজেলায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৩ হাজার ২৭ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ২০ হাজার ২৬০ জন শিশু। পরশুরাম উপজেলায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ১৬ হাজার ৫৬৪ জন শিশু। সোনাগাজী উপজেলায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৪ হাজার ২০০ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন শিশু। ফেনী পৌরসভায় নীল ক্যাপসুল খেয়েছে ৩ হাজার ৮৪১ জন শিশু এবং লাল ক্যাপসুল খেয়েছে ২১ হাজার ৯৫০ জন শিশু।
সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, ভিটামিন এ শুধুমাত্র রাতকানা রোগ প্রতিরোধ নয় বরং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এজন্য শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো জরুরি।