মেসি যেহেতু খেলছেন, মায়ামির জয় ধরেই নিয়েছিল সবাই। তবে আগের ম্যাচের মতোই নিষ্প্রভ থাকলেন মায়ামি অধিনায়ক। সেই সঙ্গে হারের দ্বারপ্রান্তে চলে ঘিয়েছিল মায়ামি। শেষ মুহূর্তে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)-এর কল্যাণে বেঁচে গেল টাটা মার্টিনোর দল। সেন্ট লুইসের বিপক্ষে ম্যাচটি মায়ামি ড্র করেছে ৩-৩ ব্যবধানে।
ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিট, ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামি তখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে। এমন অবস্থায় লিওনেল মেসি ছাড়া কারো পায়ে ভরসা করতে পারছে না মায়ামি। কিন্তু মেসিও কিছু করতে পারছিলেন না। সেই সময় জুলিয়ান গ্রেসেলের পাস থেকে সেন্ট লুইসের জালে বল পাঠান জর্দি আলবা। কিন্তু বাধ সাধলেন সহকারী রেফারি।
সহকারী রেফারি পতাকা তুলে অফসাইডের সংকেত দিলেন। কিন্তু মূল রেফারি ভিএআরের সাহায্য নেন। মাঠের পাশে থাকা মনিটরে তিনি পুরো মুহূর্তটা দেখেন। মনিটরে দেখা যায়, আলবা অফসাইডে ছিলেন না। এরপর গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। আবার উচ্ছ্বাসে ভাসে মায়ামির গ্যালারি। এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
এর আগে ম্যাচের ১৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়া মায়ামিকে ১০ মিনিট পর সমতায় ফেরান মেসি। ৪১ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তাদের সমতায় ফেরান বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। ৬৮ মিনিটে তারই আত্মঘাতী গোলে ৩-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন মেসিরা।