দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে রান এতোটাই কম হয়েছে যে আলোচনা থামছেই না। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পারেনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা মেটাতে। ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা মাত্র ৭৭ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ম্যাচ মাত্র ২২ বল হাতে রেখে জিতে যায়।
ম্যাচের উইকেট এবং আউটফিল্ড নিয়ে হচ্ছে প্রবল সমালোচনা। আউটফিল্ড একেবারেই স্লো। আর উইকেট মন্থর এবং আনইভেন বাউন্সে ভরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন আউটফিল্ড এবং উইকেট অনেকটাই অচেনা। যৌথভাবে দুই দলের পাওয়ার প্লে’তে রান হয়েছে মাত্র ৫১। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন। সঙ্গে ডট বলেও হয়েছে রেকর্ড। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২৭ ডট বল হয়েছে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে এতো বেশি ডট বল কখনোই হয়নি।
ম্যাচে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পার্থক্য গড়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানরিখ নরকিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা ইকোনোমিকাল বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই বোলার। তবে উইকেট এবং আউটফিল্ড নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তা পছন্দ হচ্ছে না নরকিয়ের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই কেন চার ও ছক্কা সেই প্রশ্নও যেন তুলে ধরতে চাইলেন। জানিয়ে রাখা ভালো, এই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে চার ছক্কা হয়েছে ৬টি করে।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে নরকিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি ম্যাচটা ভালো হয়েছে। ম্যাচে আনন্দও ছিল। মাঠে দর্শক এসেছিল। তারা মজা পেয়েছে। প্রত্যেককে দেখতে ভালো লেগেছে। তাদের আওয়াজ, উন্মাদনা, উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছে। আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য একটি ভালো দিন কেটেছে।’
‘আমি ভুল হলে আমাকে শুধরে দিন। সবসময় এর মানে এই নয় যে, বিনোদনের জন্য এই খেলায় ২০টি ছক্কা থাকতে হবে। খেলাটায় এখনো অনেক আবেদন আছে। এখানেও স্কিল দেখানোর সুযোগ রয়েছে। সেটা ছক্কা মারায় হোক বা পেস বোলিং বা স্পিনারদের বেলায় হোক। এটা আমার ধারনা। আমি মনে করি ম্যাচটা দারুণ হয়েছে। স্লোজ ম্যাচ হয়েছে দিনশেষে। যদি আরো একটি বা দুইটি উইকেট যেত তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। আমাদেরকে হয়তো আরো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো।’ – যোগ করেন প্রোটিয়া পেসার।
নিউ ইয়র্কের এই মাঠে দশটি ড্রপ ইন পিচ ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলো আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে। এদিকে প্রোটিয়া দলের ব্যাটসম্যান হেনরিক ক্লাসেন জানালেন, এই ম্যাচ হয়েছে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের মিশ্র ভার্সন! তার মতে, ‘আমি মনে করি এটা টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ। তবুও আনন্দ ছড়িয়েছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এখানে টিকে থাকা কঠিন ছিল। মনে হয়েছে, এটা টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের মিশ্র ভার্সন। স্বস্তি যে আমরা শেষ পর্যন্ত লাইনটা ক্রস করতে পেরেছি। ভাগ্যভালো আমাদের ১২০ রান তাড়া করতে হয়নি। যদি হতো তাহলে অন্যরকম হতো।’