শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ নুরুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। আটক ব্যক্তির দাবি, ‘হারুন নামের এক ব্যক্তি জাল নোটের ব্যবসা করেন। এই নোট চালাতে প্রতিদিন ৭০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।’
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে উপজেলার সখিপুর বাজার থেকে নুরুল ইসলাম আটক হন। তিনি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার গোসাইরহাট ইউনিয়নের ধীপুর গ্রামের সোবহান হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার দুপুরে সখিপুর বাজারে কেনাকাটা করছিলেন নুরুল ইসলাম। তিনি এক মুরগি বিক্রেতাকে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট দেন। মুরগি বিক্রেতা এসময় নুরুল ইসলামকে আটক করেন। পরে আশেপাশের অন্য দোকানিরা এসে তাকে জিজ্ঞেসবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম নিজের কাছে ২৪ হাজার টাকার জাল নোট থাকার কথা স্বীকার করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে নুরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হারুন নামের এক ব্যক্তি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাকে এখানে রেখে মোবাইল বন্ধ করে কোথায় যেন চলে গেছেন। হারুন এই জাল নোটের ব্যবসা করেন। জাল নোট চালাতে প্রতিদিন ৭০০ টাকা পারিশ্রমিক দেন।’
রুহুল আমিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সামনে ঈদ। এই সময় চক্রটি জাল টাকা সরবরাহ করে। যারা বুঝতে পারেন না, তাদের এই জাল টাকা ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় এই চক্রটির সদস্যরা।’
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘জাল নোটসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’