সারা বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ের ‘সোনার খনিতে’ ভূ-তত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুসন্ধান

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় আলোচিত সোনার খনি খ্যাত কাতিহার আরবিবি ইটভাটায় এবার ভূ-তত্ত্ব অধিদপ্তরের দল অনুসন্ধান চালিয়েছে। 

মাটির স্তূপে সোনা পাওয়ার গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূ-তত্ত্ব অধিদপ্তরের দুই সদস্যর দল সরেজমিন অনুসন্ধান করেছেন।

বুধবার (৫ জুন) ভূ-তত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল রাজী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান, বাচোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে আরবিবি ইটভাটার মাটির স্তূপ, শ্যামরাই মন্দিরের পাশের জমি ও পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন।

সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘আমরা ওই এলাকার মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তিন স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটি ভূ-তাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সেই হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে এ সব থাকতে পারে।’ 

যে মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা ল্যাবে পরীক্ষা করলে ওখানে স্বর্ণ পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।