২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের সম্ভাব্য আয়োজক সৌদি আরব অভিবাসী কর্মীদের ওপর বলপ্রয়োগ করছে এবং ব্যাপক হারে শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন করছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কাছে এ সংক্রান্ত বিস্তৃত অভিযোগ জমা দিয়েছে বিল্ডিং অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ট্রেড ইউনিয়ন।
সংগঠনটি জানিয়েছে, সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছে না, তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে অবৈধ নিয়োগ ফি আদায় করা হচ্ছে। এর ফলে তারা ঋণের জালে আটকা পড়ছে। এছাড়া অবাধে চাকরি পরিবর্তনে বাধাসহ শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে কর্মীরা।
বিল্ডিং অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিডব্লিউআই) ট্রেড ইউনিয়নের মতে, অধিকার লঙ্ঘনের পরিমাণ রীতিমতো‘মহামারী’ পর্যায়ের। তাদের কাছে জোরপূর্বক শ্রমের প্রমাণ রয়েছে।
বিডব্লিউআই-এর সাধারণ সম্পাদক আম্বেত ইউসন বলেছেন, ‘সৌদি আরব, যেখানে ট্রেড ইউনিয়ন নিষিদ্ধ, তারা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক শ্রম মানকে উপেক্ষা করে এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্যাতনের শিকার অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ।’
ট্রেড ইউনিয়নটির দাবি, তারা এক কোটি ২০ লাখ শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করে। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
২০৩৪ সালে সৌদি আরব বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বলে স্পষ্ট হয় গত বছর। বিশ্বকাপ আয়োজনে সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সৌদিই ছিল এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের একমাত্র প্রার্থী। আগামী জুলাইয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিড’–এর কার্যক্রম শুরু করবে দেশটি।