নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে মারা যান তারা। এছাড়া, বদলগাছীতে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে দুই জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৫টার দিকে মান্দা উপজেলার ভোলাম গ্রামে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন শামসুল আলম (৩৫)। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিনি একই গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে।
মারা যাওয়া শামসুলের বাবা ফইমদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে আজ বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে কাজ করছিল। বজ্রপাতে আহত হয় সে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। এসময় কৃষক শামসুল আলম বাড়ির পাশের জমিতে বোরো ধানের আঁটি এক জায়গায় করতে যান। স্ত্রী লালবানু বিবিও তার সঙ্গে ছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই শামসুল আলম মারা যান।’
পত্নীতলায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের মো. বিশা মন্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আ. হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ির উঠানে আসেন। বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান। একই সময়ে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে আজ বিকেলে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান নিয়ে বাড়ির উঠানে আসেন। এসময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান। একই সময়ে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।’
এদিকে, বদলগাছী উপজেলায় বজ্রপাতে দুটি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনায় দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবনা গ্রামের মাঠে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, আমিন উদ্দিনের ছেলে খালেক (৩৫) ও ওবাইদুলের ছেলে হাবিবুর ওরফে হাব্বুল (৪৮)। তাদের বাড়ি একই গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৫টার দিকে মাঠে ছাগল ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান খালেক ও হাবিবুর। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে সড়কের পাশে গাছের নিচে আশ্রয় নেয় খালেক ও হবিবুর। বজ্রপাত হলে গাছের ডাল পড়ে তারা দুই জন গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় তাদের দুটি ছাগল। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।