বিশ্বকাপ মাঠে গড়িয়েছে ১ জুন। আজ শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়ার, ওমান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি প্রত্যেকে দুটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। কিন্তু নিউ জিল্যান্ড এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও খেলেনি।
তবে তাদের আর অপেক্ষা করতে হবে না। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল শনিবার ভোরে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে তারা। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। যাদের বিপক্ষে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে জিতেছিল কিউইরা। এবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ম্যাচে তাদের হারিয়ে সেটা শোধ দিতে চায় আফগানরা।
স্পিনবান্ধব প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সামনে অবশ্য সুযোগই বলতে হবে। আফগানিস্তান তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বড় জয় দিয়ে। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডাকে এই মাঠেই তারা হারিয়েছে ১২৫ রানের ব্যবধানে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা যদি আরও একটি জয় পায় তাহলে সুপার এইটে যাওয়ার দৌড়ে দারুণভাবে এগিয়ে যাবে।
তবে ২০১৫ সালের পর থেকে নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে বেশিবার কোনো দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেনি। আগের আট আসরে ছয়বার তারা খেলেছে সেমিফাইনাল। তিনবার খেলেছে ফাইনাল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনও তাদের শোকেসে নেউ কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা। এবারও তাদের দল তারকায় ঠাঁসা। তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড় খেলে এসেছেন আইপিএল। প্রস্তুতি ম্যাচ না খেললেও আফগানিস্তানকে হারাতে প্রস্তুত তারা।
কিন্তু গায়ানার উইকেট যেখানে স্পিন ধরে খুব, সেখানে রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীদের মতো বিশ্বমানের স্পিনারদের কিভাবে সামাল দিবে কিউইরা সেটাই দেখার বিষয়।
আফগানদের স্পিনে চ্যালেঞ্জ দেখছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। তিনি বলেছেন, ‘তারা খুবই স্কিলফুল দল। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণের দল। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আফগান ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ততা আমরা দেখতে পাই। তারা দিনকে দিন উন্নতি করছে। তারা বেশি বেশি সেরা মানের ক্রিকেটার পাচ্ছে। গেল বিশ্বকাপে আমরা দেখেছি ওয়ানডেতেও তারা বেশ শক্তিশালী। সুতরাং আফগানিস্তান সত্যিই খুবই স্কিলফুল একটি দল এবং তাদের দলে একাধিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার আছে।’
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন আফগানিস্তানের কোচ জনাথন ট্রট, ‘আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখিয়েছি যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে লড়তে সক্ষম। এখানেই আমাদের দর্শন। সুতরাং আমাদের খেলা প্রতিটি ম্যাচেই আমরা প্রত্যাশা করি বিজয়ী দল হতে। অথবা লড়াই করি প্রতিটি ম্যাচ জিততে।’
নিউ জিল্যান্ডকে সামীহ করে তিনি বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ড অবশ্যই খুবই ভালো দল। সব ফরম্যাটেই তারা ভালো দল। তাদের দলে একাধিক ম্যাচ উইনার আছে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা আমাদের হারিয়েছিল। এবার সেটা ফেরত দিয়ে সমান সমান করতে চাই।’
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবারই দেখা হয়েছিল আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের। ২০২১ বিশ্বকাপে কিউইরা সেই ম্যাচ জিতেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
গায়ানার পিচে ভিন্নতা আছে। এই মাঠে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ১৩৭ রান তাড়া করে কষ্টে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে পরের ম্যাচেই উগান্ডার বিপক্ষে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৮৩ রান। এরপর পাপুয়া নিউগিনি মাত্র ৭৭ রান করেছিল উগান্ডার বিপক্ষে। আর উগান্ডা ৭৮ রান করে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিল।