২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটেরাদের উৎসাহিত করার সংবিধানবিরোধী বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, 'এই যে বাজেট দিয়েছে, সেখানে বৈধ আয়ে কর দিতে হবে ৩০%। অন্যদিকে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়ে কর দিতে হবে ১৫%। এভাবে সরকার লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এ বাজেট আজিজ, বেনজীরদের মতো লুটেরাদের জন্য।'
শুক্রবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদসহ দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-মাফিয়া এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ২০নং অনুচ্ছেদে আছে অনুপার্জিত আয় কোন ব্যক্তি ভোগ করতে পারবে না। সেই হিসেবে এক কথায় এই বাজেট ঘুষ ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার সংবিধানবিরোধী বাজেট।
নুর বলেন, ৫২, ৬৯, ৭১ সালে এমনকি দেশ স্বাধীনের পর ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ইতিহাসের সমস্ত আন্দোলন-সংগ্রাম তরুণদের কারণে জয়ী হয়েছে। আজকের এই দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবকদের জেগে উঠতে হবে। ছাত্র-যুবক-তরুণরা জেগে না উঠলে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের পরিবর্তন হবে না। তাই ছাত্র এবং যুব অধিকার পরিষদকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে জনগণকে সংগঠিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র না থাকায় জবাবদিহিতাহীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলতে গেলে দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বের করতেও ঘুষ দিতে হয়। সরকারি এমন কোনো দপ্তর বা অফিস নেই যেখানে ঘুষ ও দুর্নীতি নাই। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে আজিজ-বেনজীরদের তৈরি করেছে। এখন তাদের দায় নিতে চাচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরনের সভাপতিত্বে গণবিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।