চট্টগ্রামের তরুণ মোহাম্মদ মোরশেদ। দুবাইয়ে কর্মজীবন। একই কারণে দুবাইয়ে ছিলেন শ্রীলঙ্কান তরুণী পচলা। তিন বছর আগে সেখানেই পচলার সঙ্গে পরিচয় হয় মোরশেদের। এরপর দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শ্রীলঙ্কা থেকে স্বপরিবারে চট্টগ্রামে এসে প্রেমের সফল পরিণতি টেনেছেন পচলা।
গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) রাতে মোরশেদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে মোরশেদ ও পচলার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রবাসী মোরশেদের ভাই মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুনাফখিল গ্রামে। আমার বড় ভাই দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থাকেন। সেখানেই শ্রীলঙ্কান তরুণী পচলার সাথে ভাই মোরশেদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং পরিবারকে জানান। আমাদের পরিবার প্রথমে সম্মতি না দিলেও পরে রাজি হয়ে যায়। পচলাও তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই দুই জনের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ছিলো আমার ভাই এবং পচলার আকদ অনুষ্ঠানের নির্ধারিত দিন। এ উপলক্ষে শ্রীলঙ্কা থেকে চট্টগ্রামে আসেন পচলা ও তার পরিবারের সদস্যরা। উভয় পরিচারের সম্মতি ও উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ইসলামী রীতি অনুসারে পচলা এবং মোরশেদের আকদ সম্পন্ন হয় এবং কাজীর মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি কাবিন করা হয়। কাবিন ধরা হয়েছে ১ লাখ ১টাকা। আকদ শেষে শুক্রবার রাতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে উৎসবমুখর পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।’
বর মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ‘দীর্ঘ পরিচয়ের সূত্র ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই আমরা বিয়ে করেছি। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই খুশি। আত্মীয় স্বজনরাও আনন্দিত। সবাই আমাদের দেখতে এসে দোয়া করছেন।’