ম্যাচের ১৬.২ ওভার। অটনেইল বার্টম্যানের বল লাগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পেরও বাইরে দিয়ে। বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে বড় একটি ক্ষতি হয়ে যায়।
বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। লেগ বাই হিসেবে চার রান যোগ হওয়ার কথা বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। কিন্তু আম্পায়ার প্রথমে আউট দেওয়াতে নিয়মনুযায়ী সেই রান বাতিল হয়ে যায়। ডট বল হিসেবে গণ্য হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই চার রানেই হারে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহীদ হৃদয়ের জুটি এগোচ্ছিল দারুণভাবে। ম্যাচের নাটাই ছিল বাংলাদেশের হাতেই। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ২৩ বলে রান। পরের ওভারের প্রথম বলে তাওহীদ হৃদয় এলবিডব্লিউর শিকার হন। আম্পায়ার্স কলে সেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়।
সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা তাওহীদের আউটে যেন ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে নিতে পেরেছে ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হারে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এখন এই ৪ রানের আক্ষেপেই পুড়ছে গোটা বাংলাদেশ।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। তাড়া করতে নেমে ব্যাটাদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৯ রান করে।