ধর্ষণের অভিযোগে লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। প্রিন্স মামুনের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আদালতে হাজির হন লায়লা। এর আগে প্রিন্স মামুনকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। রিমান্ড শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন লায়লা। মামলার পর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিন বছর আগে ফেসবুকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব বাসা নেই। যেহেতু, প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন লায়লার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করত। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের তাগিদ দিলে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার লায়লাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে মামুনকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং গালিগালাজ করে।