অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হারিয়েছেনে পিয়নের চাকরি। পরে ম্যাজিস্ট্রেট সেজে নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে গোয়েন্দার জালে আটকা পড়েছেন সোহেল আরমান নামের এই যুবক।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান কেএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) মো. নুরুজ্জামান। এর আগের রাতে নগরীর বৈকালী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সোহেল আরমান খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ডুবি গ্রামের মো. আবুল ফজলের ছেলে।
কেএমপির ডেপুটি কমিশনার নুরুজ্জামান বলেন, গত শনিবার সোহেল আরমান নগরীর ডাকবাংলো এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে জেলা প্রশাসন জানায়, ওই দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের কোনও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেনি। সেই সূত্র ধরে মাঠে নামে কেএমপির গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে প্রতারক সোহেল আরমানকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটকের পর সোহেল আরমানের কাছ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সিল, জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়ার রশিদ বই, অভিযোগ গঠন ফর্মসহ ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
‘গত দুই মাসে সোহেল আরমান ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে আর কারও সম্পৃক্ত আছে কিনা খোঁজ করা হচ্ছে।’ - যোগ করেন তিনি।
এর আগে, খুলনা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) স্বাক্ষর জাল, চেকের পাতায় নির্ধারিত টাকার অংকের বাম পাশে অতিরিক্ত সংখ্যা যোগ এবং ভুয়া চিঠি প্রেরণ করে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহায়ক সোহেল আরমান ও রাজস্ব শাখার ট্রেসার ও সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেট খুলনার নাজির মো. আব্দুর শাকুর শেখকে। এ ঘটনায় মামলা করেছে দুদক।