খেলাধুলা

উড়ন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে নড়বড়ে নিউ জিল্যান্ড

বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ম্যাচ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে কষ্টে জিতে। কিন্তু পরের ম্যাচে উগান্ডার বিপক্ষে পায় ১৩৪ রানের দাপুটে জয়। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। এগিয়ে আছে সুপার এইটে যাওয়ার দৌড়ে।

অন্যদিকে সবার শেষে বিশ্বকাপ খেলতে নামা নিউ জিল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে নাস্তানাবুদ হয়। আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অলআউট হয় মাত্র ৭৫ রানে। বড় হারে -৪.২০০ রান রেট নিয়ে কিউইরা আছে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।

নড়বড়ে নিউ জিল্যান্ড বৃহস্পতিবার (১৩ জুন, ২০২৪) সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে যদি তারা হেরে যায় তাহলে এবারের বিশ্বকাপ থেকে তাদের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে।

২০১৫ থেকে ২০২২ সময়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল নিউ জিল্যান্ড। এই সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয় আসরের ছয়টিতেই সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা সেমিফাইনাল খেলে। এরপর ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনাল খেলে। এর মধ্যে ছয় আসরের তিনটিতে তারা খেলেছে ফাইনাল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের শোকেসে নেই কোনো শিরোপা।

এবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এসে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এবার সেই ধাক্কা সামলে ওঠার সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এই ম্যাচে যদি তারা জিততে পারে তাহলে তাদের সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকবে। আর যদি হেরে যায় তাহলে ফিঁকে হয়ে যাবে। আর ‘সি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ আট নিশ্চিত করবে ক্যারিবিয়ানরা।

আফগানিস্তানের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া নিউ জিল্যান্ড তাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের ম্যাচের একাদশে একাধিক পরিবর্তন আনতে পারে। মার্ক চ্যাপম্যানের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন জিমি নিশাম। আর ম্যাট হেনরির পরিবর্তে সুযোগ পেতে পারেন ইশ সোধি।

ত্রিনিদাদের তারুবার ব্রায়ন লারা স্টেডিয়ামে বুধবার প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের অনুশীলন বাতিল করতে হয়েছিল। অনুশীলন পিচ ভালো না হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই মাঠ ছাড়ে নিউ জিল্যান্ড। যদিও বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই। তারুবায় প্রথম ইনিংসে গড় রান ১৬৭। সেক্ষেত্রে এই ম্যাচটি লো স্কোরিং হতে পারে।

নিউ জিল্যান্ড এই মাঠে নিজেদের যতোটুকু সম্ভব মানিয়ে নিয়ে খেলতে প্রস্তুত। যেমনটা বলেছেন পেসার লোকি ফার্গুসন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি এই মাঠের উইকেট কখনো কখনো স্লো হয়। সেক্ষেত্রে ১৪০-১৫০ রানের মতো স্কোর হয়। আবার কখনো কখনো হাইস্কোরিংও হয়। আমরা চেষ্টা করবো যতোটা সম্ভব এই মাঠের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে খেলতে।’

ক্যারিয়ান শিবির তাদের পরিকল্পনায় রেখেছে তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে। তাকে কিভাবে খেলা যায় সেটার উপায় খুঁজছে। যেমনটা বলেছেন রোভম্যান পাওয়েল, ‘ক্রিকেট এখন বৈশ্বিক একটি খেলা। চারপাশে অনেক প্রযুক্তি আছে। সুতরাং একটি ম্যাচে আপনি যা কিছু করেন সবকিছুই বিশ্বে অন্যের কাছে থাকে। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের একজন খুবই ভালো মানের অ্যানালিস্ট আছেন। তিনি নিশ্চয়ই ট্রেন্ট বোল্টের শক্তিমত্তা ও দুর্বল দিক বের করে আনবেন। সুতরাং আশা করছি কালকে আমরা বোল্টের শক্তি ও সামর্থ কিছুটা হলেও দমিয়ে রাখতে পারবো।’