ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা গত বছর দুই লাখ বৃক্ষরোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে ৯২ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। বাকি গাছ এ বছর রোপণ করা হবে। ঢাকায় আগে কখনো পরিকল্পিতভবে গাছ লাগানো হয়নি। তাই সব অংশীজনদের মতামত ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে মাস্টারপ্লান করে বৃক্ষরোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে ডিএনসিসি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিকল্পিত সবুজায়নের লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমার স্পষ্ট নির্দেশনা ডিএনসিসি এলাকায় কোনো গাছ কাটা যাবে না। গাছ না কেটে সব উন্নয়ন কাজ করতে হবে। বনানী সি ব্লক পার্কে একটি বটগাছ হেলে পড়ে গিয়েছিল। আমাদের প্রকৌশলীরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটি রক্ষা করেছেন এবং সোজা করেছেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা চাই পরিকল্পিতভাবে সবুজায়ন করতে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে কাজটি করা হবে। রোপণের জন্য কী গাছ নির্বাচন করা হবে, কোথায় লাগানো হবে, পরিচর্যা কীভাবে হবে এসব কিছুই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে করা হবে।
কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দীন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউশন অব প্লানারস-এর সভাপতি আদিল মোহাম্মদ খান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান বৃক্ষ পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক আরএসএম মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম এবং কাউন্সিলররা।