ফটো ফিচার

আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম

ঈদুল আজহার বাকি তিন দিন। প্রতিবারের মতো এবারও মেরাদিয়ায় বসছে পশুর হাট। 

প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ না হলেও রামপুরা খালসংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী এই হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। 

এবার আফতাবনগর হাট বন্ধ থাকায় মেরাদিয়া পশুর হাটে বিক্রির চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা ও ভালো স্থান পেতে হাট শুরুর আগেই আসছেন বিক্রেতারা। এতে খরচ একটু বেশি হলেও স্বস্তিতে আছেন তারা। 

তবে, সোমবার হঠাৎ বৃষ্টিতে পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ট্রাকে করে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে রাখছেন। 

ক্লান্ত শরীর নিয়ে অনেক ব্যাপারী রাস্তার ধারে কিংবা পশুর জন্য আনা খাবারের বস্তার ওপরই ঘুমাচ্ছেন। 

ক্রেতাদের অনেকে হাটে এসে কোরবানির পশু দেখছেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু ও তরুণদেরও হাটে আসতে দেখা গেছে। 

কেউ মনোযোগ দিয়ে দেখছেন, কেউ আবার নাম, দাম জিজ্ঞেস করছেন। কেউ আবার জানতে চাইছেন, কোথা থেকে আনা হয়েছে। 

দক্ষিণ বনশ্রীর প্রধান সড়কে মেরাদিয়া বাজার থেকে মসজিদ মার্কেট পর্যন্ত কোরবানির পশুর এ হাট বসতে দেখা যায়। দুই পাশের গলিগুলোতেও পশু নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এ হাটে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে কোরবানির পশু ওঠে। 

এ বছর ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকবে হাটে। গরু-ছাগলের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে। 

পাইকারদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। 

ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে টিম জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা করবে। 

ছবি: নুরুজ্জামান তানিম