মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গত বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ড্রোনের ওপর নির্ভর করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু গৃহযুদ্ধ যতই প্রবল হতে থাকে, বিদ্রোহীরা ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের পরিচিত এই অস্ত্র খুঁজে পায় সামরিক জান্তার বাহিনীর কাছে। চীনের তৈরি বাণিজ্যিক ড্রোনগুলো অস্ত্র বহনের জন্য ব্যবহার করছে জান্তা। বৃহস্পতিবার সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
৩১ বছর বয়সী বিদ্রোহী যোদ্ধা তা ইয়োক জি বলেছেন, ‘যুদ্ধ এখন পরিবর্তিত হচ্ছে, কারণ উভয় পক্ষই ড্রোন ব্যবহার করছে।’
তিনি জানান, জান্তা বছরের শুরুর দিকে বিদ্রোহীদের আক্রমণ করার জন্য সশস্ত্র মানবহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) ব্যবহার শুরু করে এবং তার ইউনিট সম্প্রতি একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি চীনের তৈরি বলে চিহ্নিত করেছে তার বাহিনী।
রয়টার্স চারজন প্রতিরোধ যোদ্ধা, দুইজন বিশ্লেষক এবং সংঘাতের ওপর নজর রাখছেন এমন এক জন আঞ্চলিক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা বিস্ফোরক বহন করার জন্য চীনের তৈরি ড্রোনগুলোর জান্তার ব্যবহার সম্পর্কে প্রথমবারের মতো সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন।
তা ইয়োক জি বলেন, ‘জান্তার ড্রোনের আঘাতে কয়েক জন প্রতিরোধ যোদ্ধা আহত হয়েছে, বলেছেন। তারা এগুলো আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিরনির্বাহী পরিচালক মিন জাও ওও বলেন, জান্তা বছরের শুরুতে হাজার হাজার চীনা বাণিজ্যিক ড্রোন সংগ্রহ করা শুরু করেছিল। তার এগুলোতে স্থানীয়ভাবে তৈরি অস্ত্র যুক্ত করেছে।
এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
রয়টার্সের এক প্রশ্নের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, চীন সবসময় সামরিক পণ্য এবং দ্বৈত-ব্যবহারের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীল মনোভাব লালন করে।’