খেলাধুলা

সুপার এইটে উঠলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা?

সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস যখন মাঠে নামার অপেক্ষায় তখন বারবার আলোচনায় আসছে সুপার এইটের লড়াইয়ের। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে এই দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে সাগর পাড়ের নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম সেন্ট ভিনসেন্টে অবস্থিত আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে। এই ম্যাচ দিয়ে লম্বা সময় পর সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডের অচলায়তন ভাঙছে। 

এই মাঠে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিলো ঠিক ১০ বছর আগে। ২০১৪ সালে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশই। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় নির্বাসিত কিংসটাউনের এই মাঠ। এই ম্যাচ দিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। অপেক্ষা থাকবে কেবল আনুষ্ঠানিকতার। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে সবার আগে নিশ্চিত করেছে সুপার এইট। তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার। লড়াইয়ে থাকা বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের ভাগ্য আজ নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ প্রত্যাশিত জয় পেলে এগিয়ে যাবে। শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল যাবে সুপার এইটে। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে বাংলাদেশ যাবে সুপার এইটে। গ্রুপ সিডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ডি-১ হয়ে যাবে সুপার এইটে। আর বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে যায় তাহলে ডি-২ হয়ে যাবে।

গত দুই আসরের মতো পূর্ব নির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ। আইসিসি এ তথ্য আগেই জানিয়েছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার এইটে যাবে গ্রুপ টু’তে। আর বাংলাদেশ সুপার এইটে খেলবে গ্রুপ ওয়ানে। প্রশ্ন উঠছে গ্রুপ ওয়ানে সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা হবে?

সুপার এইটে মোট আট দল যাবে। সেখানেও থাকবে দুটি গ্রুপ। গ্রুপ ওয়ান এবং গ্রুপ টু। আইসিসি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জানিয়েছে, ভারত এ ১, পাকিস্তান এ ২, ইংল্যান্ড বি ১, অস্ট্রেলিয়া বি ২, নিউ জিল্যান্ড সি ১, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সি ২ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ডি ১ এবং শ্রীলঙ্কা ডি ২ হিসেবে সুপার এইটে খেলবে। শর্ত ছিল, যদি কোনো দল সুপার এইটে উঠতে ব্যর্থ হয় তাহলে যে দল উঠবে তারা জায়গা করে নেবে। বাংলাদেশের গ্রুপে যেমন শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশ সেই জায়গা দখল করে নেবে। বলে রাখা প্রয়োজন বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও ডি ২ হিসেবে সুপার এইটে যাবে।

২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইয়ের আদলে করা প্রথম রাউন্ড শেষে সুপার টুয়েলভে যেতেও পূর্ব নির্ধারিত সিডিং অনুসরণ করা হয়েছিল। মূলত দর্শকদের টিকেট কাটার সুবিধা, দলগুলোর লজিস্টিক ঠিক করার সুবিধার কথা বিবেচনা করা হয়েছে। এবারও একই চিন্তা ছিল আইসিসির। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে উঠে তাহলে প্রতিপক্ষ কারা হচ্ছে?

ফিক্সচার অনুযায়ী ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে গ্রুপ ওয়ানে পাবে বাংলাদেশ। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে সুপার এইট। আফগানিস্তান সেই পথেই আছে। এক্ষেত্রে সময়সূচিটাও নির্ধারিত। সুপার এইটে ২১ জুন সকাল সাড়ে ছয়টায় অ্যান্টিগাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরদিন ২২ জুন রাত সাড়ে আটটায় অ্যান্টিগাতেই ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশের। সবশেষ ২৫ জুন সকাল সাড়ে ছয়টায় সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের তৃতীয় ম্যাচ।

নাজমুল হোসেন শান্তদের সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপের সফর আরও লম্বা করার। আরও সাফল্য নিয়ে আসার। নিজেদের পারফরম্যান্সে তারা কতদূর যেতে পারেন সেটাই দেখার।