টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটাও হয়? ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়ে গেল মাত্র ১৯ বলে। বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছে ইংল্যান্ড।
টুর্নামেন্টের বর্তমান শিরোপাধারীরা ওমানকে মাত্র ৪৭ রানে অলআউট করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৩.১ ওভারে। ১০১ বল হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়! স্রেফ বিস্ময়কর বটে।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে তাদের জয় নেই একটিও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড বৃষ্টিতে পয়েন্ট পাওয়ার পর ওমান ও নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেয়। তাতে সুপার এইটে যাওয়ার লড়াইয়ে তারা এগিয়ে যায়। এখনও তারা পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে।
সেরা আটে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল বিশাল জয়। রান রেটে স্কটল্যান্ডের থেকে এগিয়ে থাকা দরকার ছিল। সেই মিশনে তারা সাকসেসফুল। ওমানকে মাত্র ৩.১ বলে হারানোয় এবং ৮ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের রান রেট এখন +৩.০৮১। স্কটল্যান্ড দুইয়ে থাকলেও তাদের রান রেট +২.১৬৪।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে যদি স্কটল্যান্ড জেতে তাহলে ইংল্যান্ডের কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। আর যদি স্কটল্যান্ড হেরে যায়, রান রেট পিছিয়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ড যাবে সুপার এইটে। বৃহস্পতিবার রাতের জয়টাই এই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের পেস এবং স্পিন আক্রমণে স্রেফ উড়ে গেছে ওমান। তাদের এক ব্যাটসম্যান শোয়েব খান (১১) কেবল দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারে। বাকিরা এসেছেন আর বিদায় নিয়েছেন। ১৩.২ ওভারে গুটিয়ে যায় তারা। বল হাতে ইংল্যান্ডের সেরা আলীদ রশিদ। ৪ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট পান তাইজুল। এছাড়া জফরা আর্চার ও মার্ক উড ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন।
ওমানের এই রান ৫.২ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে পারলে স্কটল্যান্ডের রান রেট থেকে এগিয়ে যাবে ইংল্যান্ড। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ইংল্যান্ড ৩.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ৮ উইকেটে।
প্রথম দুই বলে ফিল সল্ট বিলাল খানকে দুই ছক্কা উড়ান। তৃতীয় বলে বাঁহাতি পেসার নেন উইকেট। পরের ওভারে উইল জ্যাকও ফেরেন সাজঘরে। বিলাল খানের করা তৃতীয় ওভারে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার ২২ রান নিলে ম্যাচ সহজেই জিতে নেয় শিরোপাধারীরা। বাটলার ২৪ ও বেয়ারস্টো ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।