কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে পশুর হাট বসলেও এখনো জমে ওঠেনি বেচা-বিক্রি। হাটগুলোতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় অতিরিক্ত দামে পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লা পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়। এই হাটটিতে পশু ক্রয়-বিক্রয় ছিল অপেক্ষাকৃত কম। ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষ সময়ের জন্য।
দিগরাজ গ্রাম থেকে আসা মোহাম্মাদ মল্লিক বলেন, ‘গরু কিনতে এসেছি। দাম মিলছে না। কোরবানির আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। যদি পশু পছন্দ হয় এবং দাম মেলে তাহলে কিনবো।’
চাকশ্রী গ্রাম থেকে আসা রশীদ ফকির বলেন, ‘অনেক গরু এসেছে। দেখছি পছন্দ হলে কিনব।’
গরু কিনে বাড়ি যাওয়ার সময় মহিবুল হক বলেন, ‘২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে লাল রঙের একটি বড় গরু কিনলাম। হাট যাছাই করার সময় যতোটুকু বুঝলাম গত বারের থেকে এাবার গরুর দাম ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বেশি।’
তেরখাদা থেকে এই হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘৮টি গরু নিয়ে আসছিলাম। একটি বিক্রি করছি। তেমন লাভ হয়নি। এখনও ৭টি আছে, অপেক্ষা করছি। এবার হাটে প্রচুর মানুষ, পশু বিক্রি হচ্ছে কম। ঈদের আগে লস হলেও সবগুলো গরু বিক্রি করতে হবে।’
খামারি কবির হোসেন বলেন, ভুষি, খৈল, পালিশ, ভুট্টা ও গরুর বিভিন্ন ওষুদের প্রচুর দাম। এখন এমন অবস্থা, গত বারের থেকে ১০-২০ হাজার টাকা বেশি দামে গরু বিক্রি করতে না পারলে চালান বাঁচবে না।’
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেব আলী বলেন, এবার বাগেরহাটে ১ লাখ ১২ হাজার ৪১৩টি কোরবানি যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার বেশি। গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২৩টি হাট বসেছে। এর পাশাপাশি অনলাইনে এবং খামার থেকে সরাসরি পশু বিক্রি করা হচ্ছে।