মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়লেও কোনো চাপ নেই। এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা এ নৌরুট ব্যবহার করেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীর চাপ কমে গেছে। তবে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও টঙ্গী এলাকার কর্মজীবীরা ঈদ মৌসুমে এ নৌরুট দিয়ে গন্তব্যে ফেরেন। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের হার বেড়ে যায়। বর্তমানে এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করায় যাত্রীদের পারাপারে কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই নৌরুটে ৬০ ভাগ যানবাহন পারাপার কমে গেছে।
এদিকে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ ঘাটেও যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। গার্মেন্টস ছুটি হলে আজ সন্ধ্যার দিকে ভিড় বাড়তে পারে। নৌরুটে পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করায় কোনো চাপ নেই। যানবাহনকে ঘাট এলাকায় বাড়তি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। নদীতে স্রোত থাকায় ফেরি পারাপারে ৫ থেকে ১০ মিনিট বেশি সময় লাগছে।’