অর্থনীতি

ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি, দাম চড়া

জমজমাট রাজধানীর ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় পশুর হাট। দয়াগঞ্জ মোড়-ধোলাইখাল-রায়সাহেব বাজার মোড়জুড়ে বসেছে এই হাট। চার দিন আগ থেকেই সেখানে গরু নিয়ে এসেছেন খামারিরা।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে মাঝারি ও বড় গরুর চাহিদা বেশি।

ক্রেতা–বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার মাঝারি গরুর দাম গড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি। বিক্রেতারা জানান, ঢাকার হাটগুলোতে কোরবানির পশুর সরবরাহ বেশি থাকলেও ক্রেতা কম। ক্রেতারা জানান, গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি।

ফরিদপুর থেকে ১০টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন কবির হোসেন। তিনি বলেন, গত দুই বছরে গরু বিক্রি করে লাভের আশায় ৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এ বছর আবার লোকসান হলে ঋণ পরিশোধের জন্য জমি বিক্রি করতে হবে। গরুর হাটে ১৮টি ষাঁড় নিয়ে এসেছি, একেকটার দাম এক লাখ ১০ হাজার করে।

মাদারীপুর থেকে গরুর হাটে ৬টি গরু নিয়ে এসেছেন সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, ছোট আকারের গরুর চাহিদা ভালো, কিন্তু সরবরাহ খুবই কম। আমি এ বছর কিছুটা লাভের আশা করছি।

হাটে ৪০টি গরু নিয়ে এসেছেন মো. মিজান। তিনি বলেন, গবাদিপশু রাজধানীতে আনতে আমাকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। দুটি গরু বিক্রি হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী কাজী রাকিব বলেন, আমি ১ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দামের ২৫টি গরু নিয়ে এসেছি। যার মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করেছি।

যাত্রাবাড়ীর রবিউল হোসেন বলেন, মাঝারি আকারের একটি গরু কিনেছি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। নিজেদের বাড়ি। ঝামেলা এড়াতে আগেই কিনেছি। ওয়ারির বাসিন্দা আবির রায়হান বলেন, ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। এবার দাম বেশি।

ধোলাইখাল হাটের ইজারাদার আসফাক আজীম বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ টাকা না নিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবে। আমরা ৫ শতাংশ হাসিল নিচ্ছি।