শরীয়তপুরে পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর সংখ্যা বেশি। এ আকারের গরুর চাহিদাও বেশি। বড় গরুও বাজারে আছে। তবে এ ধরনের গরু বিক্রি কম।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় পশুর দাম ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি হাঁকা হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি বলে বলছেন বিক্রেতারা।
শনিবার (১৫ জুন) জেলার পশুর হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার মনোহর বাজার পশুর হাট। যেখানে সড়ক পথ পশু আনা হয়। সকাল থেকে হাট জমজমাট। হাটে বিভিন্ন আকারের গরু থাকলেও ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যা বেশি। ছোট গরু ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আর মাঝারি আকারের গরু ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এ হাটের আকর্ষণ ‘কালা মানিক’। যার দাম হাকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। তবে এর পাশে ক্রেতারা তেমন ভিড়ছেন না। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় বেশিরভাগ গরুতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি দাম চাচ্ছেন। এ হাটে পশু বিক্রয় ছিল কম। ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষ সময়ের জন্য।
গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় আসিফ হোসেন বলেন, ‘এখানে বড় গরু কিনতে এসেছিলাম। দাম বেশি মনে হলো, তাই ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে মাঝারি আকারের গরু কিনেছি।’
আরেকজন ক্রেতা ছগীর হোসেন বলেন, ‘মানুষের একটা ক্রয় ক্ষমতা আছে। আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তের মানুষের এত দাম দিয়ে গরু কেনা সম্ভব না। তাই ১৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ছাগল কিনে নিলাম।’
বিক্রেতা শিহান খান বলেন, ‘গরুর খাবারের দাম বেশি, যার ফলে গরুর দাম বেশি। হাটে ৭টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। ৩টা গরু বিক্রয় হয়েছে। বড় ৩টা বড় গরু বিক্রি হয়নি। যার দাম ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা। দাম কম বলে তাই এখন বিক্রি করতে পারিনি।’
মনোহর পশুর হাটের পরিচালনা কমিটির বিল্লাল হোসাইন বলেন, এই অস্থায়ী পশুর হাট বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শুরু হয়েছে, রোববার (১৬ জুন) পর্যন্ত চলবে। এখানে দালালমুক্ত পরিবেশে ক্রেতারা পশু কিনতে পারছেন।
শরীয়তপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু বক্কর রাইজিং বিডিকে বলেন, শরীয়তপুরে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় পশু পাঠানো যাবে।