বাবা মানে হাজার বিকেল আমার ছেলে বেলা, বাবা মানে রোজ সকালে পুতুল পুতুল খেলা। বাবা মানে কাটছে ভালো যাচ্ছে ভালো দিন, বাবা মানে জমিয়ে রাখা আমার অনেক ঋণ।
যে বটবৃক্ষের ছায়াতলে হাজারো প্রতিকূলতায় নিশ্চিন্তে জিরিয়ে নেওয়া যায়, সেই বটবৃক্ষের আরেক নাম হলো বাবা। গাছ যেমন শত ত্যাগ স্বীকার করে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে কাজ করে চলেছে, বাবাও ঠিক তেমনই সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের নিজস্ব ছায়াতলে যত্নে রেখেছেন। শত প্রতিকূলতায় ঢাল হয়ে আমাদের রক্ষা করে চলেছেন।
কোনো দিবসকে ঘিরে আমার বাবাকে নিয়ে আয়োজন করা হয়নি কখনো। সেই যে আমার বেড়ে ওঠা, যখন দুই অক্ষরের এই ‘বাবা’ শব্দটি উচ্চারণ করতে শিখেছি, যখন বাবার হাত ধরে এক-পা, দুই-পা করে হাঁটতে শিখেছি, তখন থেকেই এ পর্যন্ত যেখানেই যাই না কেন, প্রতিটা পদক্ষেপেই বাবার দেখানো পথ অবলম্বন করে চলেছি। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হলেন আমার বাবা। কারণ বাবাই আমার প্রথম শিক্ষক এবং আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক।
চলতি পথে যতবার হোঁচট খেয়ে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি, আবারো উঠে দাঁড়িয়ে সমস্ত কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছেন আমার বাবা। মনে পড়ে যায়, এই তো সেদিন বাবার হাত ধরে স্কুলে ভর্তি হতে গেলাম। সেই থেকে আজ পর্যন্ত জীবনের কঠিনতর সময় পারি দিতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন আমার বাবা।
বাবার কাছেই স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। শিখেছি সৎ উপায়ে কিভাবে স্বপ্নকে সত্যিতে রুপান্তরিত করা যায়। আজ বাবা আছেন বলেই হয়তো জীবনটা কিছুটা হলেও সহজ। বাবা আছেন বলেই কঠিন পদক্ষেপ নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে হয় না। বাবা আছেন বলেই স্বপ্ন বেঁচে আছে।
বাবারা যেভাবে বটবৃক্ষ হয়ে আমাদের আগলে রেখেছে, জীবনের প্রতিটা অধ্যায় পাড়ি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে, সেভাবে যেন আমরাও আমাদের বাবাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি, তাদের সব আশা পূরণ করে হাসিখুশি রাখতে পারি- এই প্রার্থনাই করি।
আল্লাহ পৃথিবীর সব বাবাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন।
লেখক: শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়