খেলাধুলা

পুরো জাতিকে আমরা হতাশ করেছি: ম্যাথুজ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু শ্রীলঙ্কার। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে একই ফল। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে বিব্রতকর হারে শ্রীলঙ্কার সুপার এইটে উঠার দরজা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

তৃতীয় ম্যাচ তাদের ছিল নেপালের বিপক্ষ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লাডারহিলে বৃষ্টির দাপটে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় তাদের। ম্যাচটিতে খেলতে না পারায় শ্রীলঙ্কায় বিদায়ঘণ্টা নিশ্চিত হয়ে যায়। দশ বছর আগে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ জিতেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। লম্বা সময়ের ব্যবধানে ম্যাথুজ মাঠে থাকলেও বিশ্বকাপে নেই তার দল।

নিজেদের পারফরম্যান্সে প্রচণ্ড হতাশ ম্যাথুজ। এজন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন নিজেদেরকেই। এ কারণে দেশবাসীর কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক, ‘আমরা পুরো জাতিকে হতাশ করেছি। আমরা দুঃখিত কারণ আমরা নিজেদের হতাশ করেছি। এটা আমরা কখনোই আশা করিনি। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি কিন্তু সেগুলি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারিনি।’

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার এখনো এক ম্যাচ বাকি। ‘ডেড-রাবার’ ম্যাচে সেন্ট লুসিয়াতে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের জন্য এই ম্যাচটা বড় কিছু হতে পারে। নেপাল যদি বাংলাদেশকে হারাতে পারে এবং নেদারল্যান্ডস যদি বাংলাদেশের রান রেটকে টপকে যেতে পারে তাহলে ডাচরাই যাবে সুপার এইটে। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নিজেদের মান বাঁচাতে চায়, ‘আমরা কোনো দলকে হালকাভাবে নিতে পারি না। আমরা গতকাল দেখেছি, নেপাল প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের নেপালের খেলাটি ভেস্তে গেছে। টুর্নামেন্টে আমাদের আর মাত্র একটি ম্যাচ আছে। আমরা আমাদের গর্বের জন্য খেলব।’ 

‘‘আমরা টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। বিশেষ করে যেভাবে আমরা প্রথম দুটি ম্যাচে খেলেছি, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের হৃদয় ভেঙেছে এবং আমরা নিজেদের নিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আগামীকাল আরেকটি দিন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আমাদের ভালো খেলতে হবে। তারা বেশ বিপজ্জনক দল। আশা করছি, আমরা ভালো খেলব এবং তাদের হারাতে পারব।’ - যোগ করেন ম্যাথুজ। 

শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে এসেছিল তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে। কিন্তু বিশ্বকাপ মঞ্চে পারফর্ম করতে না পারায় নিজেদের ওপর তারা বেশ বিরক্ত, ‘এটা খুবই হতাশার যে আমরা আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে বাংলাদেশে যেভাবে খেলেছি তার ধারের কাছেও এবার পারফর্ম করতে পারিনি। আমি মনে করি, নিজেদের নিয়ে আমরা সুবিচার করিনি। সুযোগগুলোকে কাজে লাগাইনি। বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচই হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে যাদের বিপক্ষে আপনি আগে খেলেছেন।’ 

৩৭ বছর বয়সী ম্যাথুজ সাদা বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো আলোচনা করেননি। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে শ্রীলঙ্কা। ধারনা করা হচ্ছে ম্যাথুজ সেই বিশ্বকাপটাও খেলতে পারেন, ‘আমি প্রতিটি ম্যাচ আমার শেষ ম্যাচ হিসেবেই খেলছি। জীবনে কিছুই স্থায়ী নয়। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করে যাই। আমার এই মুহূর্তে বড় কোনো প্রত্যাশা নেই। আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার দিক থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি।’