সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে এসে মানুষ গরু কিনতে ছুটছেন হাটে। জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি। এ বছর এক লাখ থেকে দেড় লাখের মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি। এ বছরও রাজধানীর শনিরআখড়া কোরবানির পশুর হাটে এসেছে প্রচুর গরু।
শনিবার (১৫ জুন) হাট ঘুরে এই প্রতিবেদক হাটে থাকা গরুগুলোর মধ্যে ৬টি গরুর চিত্র তুলে ধরেছেন। চলুন জেনে আসি এসব গরুর ওজন ও দাম।
লালু: শখের বসে নিজ বাড়িতে (যাত্রাবাড়ীর কাজলায়) খামার গড়ে তুলেছেন মো. জাকির হোসেন। ১০টির বেশি গরু আছে তার। সেখান একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘লালু’। ১২ মণ ওজনের ‘লালুকে’ নিয়ে এসেছেন তিনি। ১০ ফুট লম্বা আর ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির এ গরুটির দাম চাচ্ছেন ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দাম হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ৪ লাখের বেশি উঠলেই গরুটি বিক্রি করবেন জানান জাকির হোসেনের ভাগ্নে মো. রিফাত।
বিদ্যুৎ: দেখতে চমৎকার, তাই ভালোবেসে শাহিয়াল জাতের কালো রঙের গরুটির নাম ‘বিদ্যুৎ’ রেখেছেন আব্দুল মজিদ। জয়পুরহাট থেকে ১৩ মণ ওজনের গরুটি নিয়ে এসেছেন তিনি। ১০ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার গরুটির দাম চাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। তবে সাড়ে ৪ লাখ টাকা হলে ‘বিদ্যুৎ’কে বিক্রি করে দেবেন আব্দুল মজিদ।
মধু: ১৪ মণ ওজনের গরুটি লম্বায় সাড়ে ৬ ফুট, উচ্চতায় ৬ ফুট। গরুটির নাম ‘মধু’ রেখেছেন মালিক। হাজী লাল মিয়া মাদারীপুরের শিবচরের সন্নাসীর চর থেকে আড়াই বছরের এই বিশালদেহী গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। শাহিওয়াল জাতের কালো এ গরুটির দাম চাচ্ছেন ৬ লাখ টাকা লাল মিয়া। আড়াই বছরের গরুটির দাম উঠেছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তবে ৫ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করবেন লাল মিয়া।
কোটালীপাড়ার হিরো: শনিরআখড়া গরুর হাটে এক নম্বর কাউন্টারের সামনে গরুটি নিয়ে বসেছেন মোস্তাকিম। ১৬ মণ ওজনের এই গরুটির নাম ‘কোটালীপাড়ার হিরো’। রাখেন মোস্তাকিম। তার দাবি, এই গরুটি সবচেয়ে বড়। তাই এর নাম ‘কোটালীপাড়ার হিরো’ রেখেছেন তিনি। গরুটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৬ ফুট। একটু বেশি টাকায় বিক্রি করতে গরুটি গোপালগঞ্চ থেকে ঢাকা নিয়ে এসেছেন তিনি। এর দাম উঠেছে ৪ লাখ টাকা। তবে তার চাহিদা ৫ লাখ টাকা।
সাদা বাবু: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মালিগ্রাম থেকে ১৮ টা গরু নিয়ে শনিরআখড়া হাটে এসেছেন আওলাদ অ্যাগ্রো ফার্মের কর্ণধার আওলাদ মাতুব্বর। এর মধ্যে সাড়ে ২০ মণ ওজনের সাদা রঙের একটি পাকিস্তানি শাহিওয়াল গরু রয়েছে। এটিই এবারের এই হাটের ২য় সবচেয়ে বড় গরু। ৬ ফুট উচু আর সাড়ে ১০ ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির এ গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। তবে ৭ লাখ টাকা দাম হলে গরুটি বিক্রি করে দিবেন আওলাদ মাতুব্বর। তিন বছর বয়সী এ গরুর জন্য প্রতিদিন খরচ হয় এক হাজার টাকা।
কালো বাহারিয়া: এ বছর শনিরআখড়ার সবচেয়ে বড় গরুটি কোথায় বসেছে-গরু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জিজ্ঞাসা করলে সবাই বলছেন শনিরআখড়া ফুট ওভারের পাশেরটি। আসলেই সেই গরুটিই এবারের এ হাটের সবচেয়ে বড় গরু। ৬ ফুট এক ইঞ্চি লম্বা গরুর নাম মালিক রেখেছেন ‘কালো বাহারিয়া’। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে গরুটি নিয়ে এসেছেন মো. রফিক। এলাকায় বড় গরু বিক্রি হয় না। এজন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছেন বলে জানান রফিক। দাম চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। দাম হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ। তবে ৭ লাখ হলে গরুটি বিক্রি করবেন জানান রফিক।
[ গরুর মালিক ও হাট কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে ]