খেলাধুলা

স্কটিশ হৃদয় ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড

৩০ বলে ৬০ রানের প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ডাবল রান যাকে বলে। যে কোনো দলের জন্য এই রানটা কঠিন। একটু ওলটপালট হলেই ম্যাচ শেষ। কিন্তু ব্যাটিংয়ে যখন ট্রেভিস হেড থাকেন তখন ভরসা তো রাখাই যায়।

হেড পরের তিন বলে পাল্টে দিলেন ম্যাচের চিত্র। পেসার সাফইয়ান শরীফকে গুনে গুনে হাঁকালেন তিন ছক্কা। মাঝে ছিল এক ওয়াইড। স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ চলে আসে হাতের মুঠোয়। এরপর হেড ফিরেছেন। স্টয়নিস ফিরেছেন। তাতেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

শেষ ওভারে ৫ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেন ওয়েড ও ডেভিড। ছক্কায় দলের জয় নিশ্চিত করেন ডেভিড। 

অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটের জয়ে হৃদয় ভেঙেছে স্কটল্যান্ডের। এই ম্যাচ জিতলে তারা বিশ্বকাপের সুপার এইটে চলে যেত। সাম্ভাব্য সব কিছু করেও স্কটল্যান্ড ম্যাচটা জিততে পারল না। হৃদয় ভাঙার আর্তনাদ স্কটিশদের চোখে মুখে ফুটে উঠলেও আপাতত আর কিছু করার নেই।

এদিকে স্কটল্যান্ডের হারে সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ডের। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা চলে গেল সুপার এইটে।

সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে স্কটল্যান্ড ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা স্কটল্যান্ডের বিশাল পুঁজি। এর পেছনের কারিগর ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে করেছেন ৬০ রান। ২ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ৬ ছক্কা।

এছাড়া অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ৩১ বলে ৪২ এবং ওপেনার জর্জ মুনসে ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। তিনজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে স্কটল্যান্ডের রান বড় হয়েছে। ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া অ্যাস্টন আগার, নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা ১টি করে উইকেট নেন। 

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায়। ডেভিড ওয়ার্নার ১ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক মার্শের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থেমে যান ১১ রানে।  বিপদে পড়া অস্ট্রেলিয়া উদ্ধার হয় চতুর্থ উইকেট জুটিতে। হেড ও স্টয়নিস ৪৪ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে তারা রান তুলে সহজেই ম্যাচটা বের করে আনেন। 

১৫ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরার আগে হেড ৪৯ বলে ৬৮ রান করেন ৫ চার ও ৪ ছক্কায়। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া স্টয়নিস ২৯ বলে করেন ৫৯ রান। ৯ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি হার্ডহিটার। শেষ দিকে টিম ডেভিড ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।  

এই ম্যাচে চোখ ছিল ইংল্যান্ডেরও। তারা স্কটল্যান্ডের হারের প্রহর গুনেছে। ম্যাচ হারায় স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট হয়েছে ৫। সমান ৫ পয়েন্ট ইংল্যান্ডেরও। তাদের রান রেট ৩.৬১। স্কটল্যান্ডের ১.২৫। নামিবিয়া ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়েছে। এর আগে ছিটকে যায় ওমান। ৪ ম্যাচে ৪টিই জিতে অস্ট্রেলিয়া গেছে সুপার এইটে।