কোরবানির পশু জবেহ করার নিয়ম হলো, পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা পশ্চিম দিকে রেখে কেবলামুখি করে শুইয়ে পূর্ব দিক থেকে চেপে ধরে কোরবানি করতে হবে।
কোরবানি করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, সিনার উপরিভাগ এবং কণ্ঠনালীর মাঝামাঝি স্থানে যেন জবেহ করা হয়। গলায় চারটি রগ রয়েছে, এর মধ্যে গলার সামনের দিকে দুটি- খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দুপাশে দুটি রক্তনালী। এ চারটির মধ্যে খাদ্যনালী, শ্বাসনালী এবং দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি অবশ্যই কাটতে হবে। নিজের কোরবানি নিজ হাতে করা উত্তম।
আরবি নিয়ত জানা না থাকলে জবেহ করার সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে কোরবানি করলেও শুদ্ধ হবে। কারণ নিয়ত অন্তরের ব্যাপার।
১. কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশু কোরবানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দান করা যাবে না, বিক্রি করা যাবে না। তবে কোরবানি ভালোভাবে আদায় করার জন্য পরিবর্তন করে এর চেয়ে উত্তম পশুর ব্যবস্থা করা যাবে। ২. পশুর মালিক ইন্তেকাল করলে, কোরবানি বাস্তবায়ন করা তার উত্তরাধিকারীদের দায়িত্ব। ৩. এ পশু দ্বারা কোনো ধরনের উপকার ভোগ করা যাবে না। যেমন- দুধ বিক্রি করা, কৃষিকাজে ব্যবহার করা, সওয়ারি হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি। কোরবানির পশুর পশমও বিক্রি করা যাবে না। পশম তার শরীর থেকে আলাদা করে ফেললে দান করে দিতে হবে। ইচ্ছা করলে নিজের কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে। ৪. কোরবানিদাতার অযত্ন-অবহেলায় যদি পশুটি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে, চুরি হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যায়, তাহলে তার কর্তব্য হবে অনুরূপ বা তার চেয়ে ভালো একটি পশু ক্রয় করা। আর যদি স্বাভাবিকভাবেই কোনো কারণে দোষত্রুটির সৃষ্টি হয়, তাহলে কোরবানি করা যাবে। ৫. কোরবানির পশু হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হয়ে গেলে কোরবানিদাতার ওপর পূর্ব থেকেই কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকলে, সে কোরবানির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে। আর যদি পূর্ব থেকে ওয়াজিব না থাকে, বরং সে গরিব, তাহলে চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে তাকে আবার পশু কিনে কোরবানি আদায় করতে হবে।