খেলাধুলা

২৮ শতাংশ বল দখল করে ইউক্রেনের জালে রোমানিয়ার ৩ গোল

একটি জয়ের জন্য কতকাল অপেক্ষা করা যায়? রোমানিয়া অপেক্ষা করলো পাক্কা ২৪ বছর। ইউরো কাপে ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনও ম্যাচে জিতল রোমানিয়া। ৩-০ গোলে তারা হারিয়েছে ইউক্রেনকে। তাতে এবারের ইউরো কাপে স্বপ্নের শুরু হয়েছে রোমানিয়ার। শেষবার ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।

ফেভারিট হিসেবেই মিউনিখ ফুটবল এরিনায় মাঠে নেমেছিল ইউক্রেন। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকায় অনুমিতভাবেই তারা ছিল ফেভারিট। কিন্তু মাঠের ফুটবলে চমক দেখাল রোমানিয়া। পিছিয়ে থেকেও দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে তারা। ইউক্রেনের বিপক্ষে ২১ বছর পর জয়ের স্বাদ পেল তারা। তাদের আগের জয়টি ছিল ২০০৩ সালে। প্রীতি ম্যাচটিতে রোমানিয়া জিতেছিল ২-০ গোলে।

প্রথমার্ধে এক গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরপর দুটি গোল। তাতেই ম্যাচটা রোমানিয়ার পক্ষে চলে আসে। ইউক্রেন চেষ্টা করেও পারেনি ম্যাচে ফিরতে। তাতে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার আনন্দ পায় রোমানিয়া।  

ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল বেছে নেয়। বল দখলের লড়াইয়ে ইউক্রেন এগিয়ে ছিল। কিন্তু ২৯ মিনিটে তাদেরকেই গোল হজম করতে হয়। গোলরক্ষক লুনিনের বড়সড় ভুলে ডি বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পান ডেসিন ম্যান। তিনি পাস বাড়িয়ে দেন স্ট্যানসিউকে। লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি স্ট্যানসিউ। 

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে ইউক্রেন। ৫৩ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন রাভান মারিন। ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় রোমানিয়া ৩-০ গোলের লিড নেয়। ডেনিস ম্যানের ক্রস থেকে ডেনিস দ্রাগাস গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। গোলটি ভার প্রযুক্তি দিয়ে দেখা হলেও শেষ পর্যন্ত গোল হওয়ায় রোমানিয়া এগিয়ে যায়।

স্কোরলাইন দেখলে যে কেউই বলবে, এই ম্যাচে রোমানিয়া উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনকে। কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, ম্যাচে ৭২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও জয় পায়নি ইউক্রেন। ফিনিশিংয়ে ছিল চরম দূর্বলতা। ১৩ শট নিয়ে গোল পায়নি একটি।

সেখানে ২৮ শতাংশ বল দখলে রেখে নয় শটের পাঁচটি গোলমুখে রেখেছে রোমানিয়া। যার তিনটিতেই বাজিমাত। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথম কোনও দল মাত্র ২৮ শতাংশ বল পজিশন রেখেও ৩-০ গোলে জিতল। 

ইউরোর শুরুটা রোমানিয়া যেভাবে করতে চেয়েছিল, সেভাবেই হয়েছে। সামনে একই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার।